শার্ল দ্য গোল | |
---|---|
Charles de Gaulle | |
ফ্রান্সের ১৮শ রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ৮ই জানুয়ারি ১৯৫৯ – ২৮শে এপ্রিল ১৯৬৯ | |
প্রধানমন্ত্রী | |
পূর্বসূরী | র্যনে কতি |
উত্তরসূরী | জর্জ পঁপিদু |
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১লা জুন ১৯৫৮ – ৮ই জানুয়ারি ১৯৫৯ | |
রাষ্ট্রপতি | র্যনে কতি |
পূর্বসূরী | পিয়ের ফিল্মল্যাঁ |
উত্তরসূরী | মিশেল দ্যব্রে |
ফরাসি গণরাষ্ট্রের অস্থায়ী সরকারের সভাপতি | |
কাজের মেয়াদ ৩রা জুন ১৯৪৪ – ২৬শে জানুয়ারি ১৯৪৬ | |
পূর্বসূরী |
|
উত্তরসূরী | ফেলিক্স গুয়্যাঁ |
ফরাসি জাতীয় পরিষদের সভাপতি[ক] | |
কাজের মেয়াদ ১৮ই জুন ১৯৪০ – ৩রা জুন ১৯৪৪ | |
পূর্বসূরী | পদ তৈরি[খ] |
উত্তরসূরী | পদ বিলুপ্তি[গ] |
প্রতিরক্ষামন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১লা জুন ১৯৫৮ – ৮ই জানুয়ারি ১৯৫৯ | |
প্রধানমন্ত্রী | খোদ |
পূর্বসূরী | পিয়ের দ্য শ্যভ্যানিয়ে |
উত্তরসূরী | পিয়ের গিয়োমা |
আলজেরিয়া বিষয়ক মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১২ই জুন ১৯৫৮ – ৮ই জানুয়ারি ১৯৫৯ | |
প্রধানমন্ত্রী | খোদ |
পূর্বসূরী | অঁদ্রে ম্যুত্যর |
উত্তরসূরী | লুই জক্স |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | শার্ল অঁদ্রে যোজেফ মারি দ্য গোল ২২ নভেম্বর ১৮৯০ লিল, ফ্রান্স |
মৃত্যু | ৯ নভেম্বর ১৯৭০ কলঁবি-লে-দোজ-এগ্লিজ, ফ্রান্স | (বয়স ৭৯)
সমাধিস্থল | কলঁবি-লে-দোজ-এগ্লিজ, ফ্রান্স |
রাজনৈতিক দল | উনিয়ঁ দে দেমক্রাত পুর লা রেপ্যুব্লিক (১৯৬৭–১৯৬৯) |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | য়ুনিয়ঁ পুর লা নুভেল রেপ্যুব্লিক (১৯৫৮–১৯৬৭) |
দাম্পত্য সঙ্গী | ইভন ভঁদ্রু (বি. ১৯২১) |
সন্তান | |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | একল স্পেসিয়াল মিলিত্যার দ্য স্যাঁ-সির |
স্বাক্ষর | |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | |
শাখা | |
কাজের মেয়াদ | ১৯১২–১৯৪৪ |
পদ | ব্রিগেডিয়ার জেনারেল |
ইউনিট |
|
কমান্ড | |
যুদ্ধ | |
|
শার্ল অঁদ্রে জোযেফ মারি দ্য গোল[ক][খ] (ফরাসি: Charles de Gaulle, উচ্চারণ: (ⓘ);[১] ২২শে নভেম্বর ১৮৯০ – ৯ই নভেম্বর ১৯৭০) ছিলেন একজন ফরাসি সামরিক অফিসার ও রাষ্ট্রনায়ক যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে মুক্ত ফরাসি বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং ফ্রান্সে একটি প্রজাতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ফরাসি প্রজাতন্ত্রের অস্থায়ী সরকারের সভাপতিত্ব করেছিলেন। ১৯৫৮ সালে আলজেরীয় যুদ্ধ চলাকালীন রাষ্ট্রপতি র্যনে কতি কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হলে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ফ্রান্সের সংবিধান পুনর্লিখন করেন এবং গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদনের পর পঞ্চম প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। সেই বছরের শেষের দিকে তিনি ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, যে পদে তিনি ১৯৬৯ সালে তার পদত্যাগ পর্যন্ত অধিষ্ঠিত ছিলেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিজেকে স্বাধীন ফ্রান্সের একমাত্র নেতা হিসেবে ঘোষণা করে ফ্রান্সে অবস্থানরত জার্মান নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের সূচনা করেন। জেনারেল দ্য গোলের এ পদক্ষেপ পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গতিপথকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে।
১৯৪০ সালের ১৪ জুন নাৎসি বাহিনীর হাতে প্যারিসের পতন হয়। নাৎসি অগ্রাসনের মুখে জেনারেল গোল ১৯৪০ সালের ১৭ই জুন ফ্রান্স থেকে পালিয়ে ব্রিটেনে চলে আসেন। ফরাসি সরকার ১৮ জুন জার্মানির সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তুতি নেওয়ার প্রাক্কালে তিনি বিবিসি রেডিওতে ফরাসি জাতির উদ্দেশে এক ভাষণ দেন। তার ভাষণে দ্য গোল নিজেকে স্বাধীন ফ্রান্সের একমাত্র নেতা হিসেবে ঘোষণা করে ফ্রান্সে নাৎসি প্রতিরোধের সূচনা করেন। জেনারেল দ্য গোলের এ পদক্ষেপ পরবর্তীকালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গতিপথকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। ঐতিহাসিক এ ভাষণে জেনারেল দ্য গোল বলেন, ফরাসি প্রতিরোধের যে অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত হয়েছে তা কখনোই নিভবে না। ভাষণের পরদিন দ্য গোলের বক্তব্য সম্মলিত পোস্টারে ছেয়ে যায় যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন শহর।