জেমস স্টুয়ার্ট | |
---|---|
James Stewart | |
জন্ম | জেমস মেইটল্যান্ড স্টুয়ার্ট ২০ মে ১৯০৮ |
মৃত্যু | ২ জুলাই ১৯৯৭ বেভার্লি হিলস, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৮৯)
মৃত্যুর কারণ | Pulmonary embolism[১] |
সমাধি | ফরেস্ট লন মেমোরিয়াল পার্ক, গ্লেনডেল, ক্যালিফোর্নিয়া |
অন্যান্য নাম | জিমি স্টুয়ার্ট |
শিক্ষা | বি.এ. (১৯৩২) |
মাতৃশিক্ষায়তন | প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | অভিনেতা, সেনা কর্মকর্তা |
কর্মজীবন | ১৯৩২–১৯৯১ |
পরিচিতির কারণ | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগদানকারী প্রথম মার্কিন চলচ্চিত্র তারকা[ক] |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | পূর্ণ তালিকা |
রাজনৈতিক দল | রিপাবলিকান |
দাম্পত্য সঙ্গী | গ্লোরিয়া হ্যাট্রিক ম্যাকলিন (বি. ১৯৪৯; মৃ. ১৯৯৪) |
সন্তান | ৪ |
পুরস্কার | পূর্ণ তালিকা |
জেমস মেইটল্যান্ড স্টুয়ার্ট (ইংরেজি: James Maitland Stewart; ২০ই মে, ১৯০৮ - ২রা জুলাই, ১৯৯৭) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেতা ও সেনা কর্মকর্তা। তিনি চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে সম্মানিত ও জনপ্রিয় তারকাদের একজন। তার অভিনীত বেশ কিছু চলচ্চিত্র ধ্রুপদী চলচ্চিত্রের আখ্যা লাভ করেছে। স্টুয়ার্ট তার চলচ্চিত্র কর্মজীবনে পাঁচবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং দ্য ফিলাডেলফিয়া স্টোরি (১৯৪০) চলচ্চিত্রের জন্য একবার এই পুরস্কার লাভ করেন এবং আজীবন কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৮৫ সালে একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৬৮ সালে তাকে স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়। ১৯৯৯ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট তাকে হলিউডের স্বর্ণযুগের তৃতীয় সেরা পুরুষ কিংবদন্তীর স্বীকৃতি দান করে, তার উপরে ছিল হামফ্রী বোগার্ট ও ক্যারি গ্র্যান্ট।[২] এছাড়া আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের করা ১০০ সেরা মার্কিন চলচ্চিত্রের তালিকায় স্টুয়ার্টের পাঁচটি চলচ্চিত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।[৩]
তিনি তার সেনা কর্মজীবনের জন্য প্রসিদ্ধ। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা সেনা কর্মকর্তা এবং পাইলট। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল র্যাংক পর্যন্ত উত্তীর্ণ হন। ফলে তিনি এখন পর্যন্ত সামরিক ইতিহাসের সর্বোচ্চ র্যাংকধারী অভিনেতা।[৪]
জেমস মেইটল্যান্ড স্টুয়ার্ট ১৯০৮ সালে ২০ই মে পেনসিলভানির ইন্ডিয়ানায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলেকজান্ডার স্টুয়ার্ট (১৯ই মে, ১৮৭১ - ২৮ ডিসেম্বর, ১৯৬১) ছিলেন একজন হার্ডওয়্যার স্টোরের মালিক এবং মাতা এলিজাবেথ রুথ (জন্মনাম জ্যাকসন, ১৬ই মার্চ, ১৮৭৫ - ২রা আগস্ট, ১৯৫৩)[৫] স্টুয়ার্ট মূলত স্কটিশ বংশোদ্ভূত এবং প্রেসবাইটেরিয়ান হিসেবে বেড়ে ওঠেন।[৬][৭][৮] তার পূর্বপুরুষদের মধ্যে কয়েকজন মার্কিন বিপ্লব, ১৮১২ সালে যুদ্ধ ও মার্কিন স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী রয়েছেন।[৮] স্টুয়ার্ট তার তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়। তার ছোট দুই বোন ভার্জিনিয়া উইলসন স্টুয়ার্ট এবং ম্যারি কেলি স্টুয়ার্ট। কিশোর বয়সে স্টুয়ার্টকে তার পিতার স্টোরে উত্তরাধিকারী হিসেবে ভাবা হত এবং ধারণা করা হত তিনি তাদের তিন প্রজন্ম ধরে চলে আসা পারিবারিক ব্যবসায় দেখাশুনা করবেন।[৯][১০] তার মা খুব ভালো পিয়ানো বাজাতে পারতেন, কিন্তু তার পিতা তাকে সঙ্গীতের তালিম গ্রহণ করতে নিষেধ করেন। একবার একজন অতিথি তাকে একটি একর্ডিয়ান উপহার দিলে তিনি খুব দ্রুতই তা বাজানো শিখেন। ধীরে ধীরে সঙ্গীত এই পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে।[১০]
স্টুয়ার্ট মার্সেলবার্গ একাডেমি প্রিপারেটরি স্কুলে পড়াশুনা করেন এবং ১৯২৮ সালে সেখান থেকে পড়াশুনা সমাপ্ত করেন। তিনি বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ফুটবল ও ট্র্যাক দলের হয়ে খেলতেন, বাৎসরিক সাময়িকী কারুক্সের সম্পাদক ছিলেন, এবং চোইয়ার ক্লাব ও জন মার্শাল লিটারেরি সোসাইটির সদস্য ছিলেন। প্রথম গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে নিজ শহরে ফিরে এসে স্টুয়ার্ট স্থানীয় দালান নির্মাণ কোম্পানির শ্রমিক হিসেবে এবং হাইওয়ে ও রাস্তা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের হয়ে রাস্তায় দাগ ঠানার কাজ করতেন। পরবর্তী দুইটি গ্রীষ্মের ছুটিতে তিনি একজন পেশাদার জাদুকরের সহকারী হিসেবে কাজ করেন।[১১] তিনি দ্য উল্ভ্স নাটকের মধ্য দিয়ে প্রথম মঞ্চে অভিনয় করেন। মার্সেলবার্গে মঞ্চস্থ এই নাটকে তিনি বাকেট চরিত্রে অভিনয় করেন।[১২]