হেনরি ফন্ডা | |
---|---|
Henry Fonda | |
জন্ম | হেনরি জেনেস ফন্ডা ১৬ মে ১৯০৫ গ্রিন আইল্যান্ড, নেব্রাস্কা, যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ১২ আগস্ট ১৯৮২ লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৭৭)
মৃত্যুর কারণ | হৃদরোগ |
জাতীয়তা | মার্কিন |
মাতৃশিক্ষায়তন | মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯২৮-৮২ |
দাম্পত্য সঙ্গী | মার্গারেট সুলাভান |
সন্তান | ৩, জেন ফন্ডা (মেয়ে) পিটার ফন্ডা (ছেলে) |
আত্মীয় | ব্রিজেট ফন্ডা (নাতনী) ট্রয় গ্যারিটি (নাতনী) |
পুরস্কার | পূর্ণ তালিকা |
হেনরি জেনেস ফন্ডা (১৬ মে, ১৯০৫ - ১২ আগস্ট, ১৯৮২) ছিলেন একজন মার্কিন চলচ্চিত্র ও মঞ্চ অভিনেতা। পাঁচ দশকের বেশি সময় অভিনয় করা এই অভিনেতা ব্রডওয়ে থিয়েটারে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৩৮ সালে তিনি জোয়ান টম্পকিন্স এর সাথে নিউ ইয়র্কের হোয়াইট প্লেনসে একটি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন। তার হলিউডে অভিষেক হয় ১৯৩৫ সালে। তার অভিনয় জীবন আরও গতিশীল হয় ১৯৪০ সালে জন স্টেইনবেক রচিত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত দ্য গ্রেপস্ অফ র্যাথ চলচ্চিত্রের টম জোড চরিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার এর মনোনয়ন লাভ করলে।
হেনরি বিখ্যাত অভিনয়শিল্পী পরিবারের প্রধান। তার মেয়ে জেন ফন্ডা, ছেলে পিটার ফন্ডা, নাতনী ব্রিজেট ফন্ডা এবং নাতী ট্রয় গ্যারিটি। তার পরিবার ও কাছের বন্ধুগণ তাকে "হ্যাঙ্ক" বলে ডাকতেন। ১৯৯৯ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট এর করা সর্বকালের সেরা অভিনেতার র্যাংকিংয়ে তার অবস্থান ষষ্ঠ।
হেনরি ১৯০৫ সালের ১৬ মে নেব্রাস্কার গ্র্যান্ড আইল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পিতা উইলিয়াম ব্রেস ফন্ডা ছিলেন একজন বিজ্ঞাপন-মুদ্রণকর্মী এবং মাতা এলমা হার্বার্টা (জেনেস)। হেনরির পূর্বপুরুষগণ ১৫শ শতাব্দীতে ইতালির জেনোয়া থেকে নেদারল্যান্ডে চলে যান।[২] ১৬৪২ সালে ফন্ডার পূর্বপুরুষদের একদল নিউ নেদারল্যান্ডের ওলন্দাজ উপনিবেশ থেকে উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে চলে আসেন। তারা প্রথম সময়ের ওলন্দাজ যারা নিউ ইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। ১৮৮৮ সালের মধ্যে তাদের অনেকে নেব্রাস্কায় চলে যান।[৩]
হেনরির প্রথম চলচ্চিত্র ছিল টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স প্রযোজিত ১৯৩৫ সালের দ্য ফার্মার টেকস আ ওয়াইফ। এটি জ্যানেট গেনরের ব্রডওয়ে থিয়েটারের নাটকের চলচ্চিত্র রূপ। ব্রডওয়ের নাটকেও তিনিই অভিনয় করেছিলেন। ছবিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়। একই বছর তিনি অপেরা তারকা লিলি পন্স এর সাথে আই ড্রিম টু মাচ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। পরের বছর তিনি সিলভিয়া সিডনি ও ফ্রেড ম্যাকমুরের সাথে দ্য ট্রেইল অফ দ্য লোনসাম পাইন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এটি প্রথম টেকনিকালার চলচ্চিত্র, যার শুটিং আউটডোরে হয়।
তিনি তার প্রাক্তন স্ত্রী মার্গারেট সুলাভানের সাথে দ্য মুন্স আওয়ার হোম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সময় তাদের সম্পর্ক আবার কিছুটা গাঢ় হতে থাকে এবং তারা পুনরায় বিয়ে করার কথাও ভাবেন। ১৯৩৭ সালে তিনি ফ্রিট্জ ল্যাং পরিচালিত ইউ অনলি লিভ ওয়ান্স ছবিতে সিলভিয়া সিডনির বিপরীতে অভিনয় করেন। বেটি ডেভিসের বিপরীতে জেজেবেল (১৯৩৮) চলচ্চিত্রে তার অভিনয় সমাদৃত হয়। পরের বছর তিনি জন ফোর্ড পরিচালিত ইয়ং মিস্টার লিংকন চলচ্চিত্রের শিরোনাম চরিত্রে এবং একই পরিচালকের ড্রামস এলং দ্য মহক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
ফন্ডার সফলতা দেখে জন ফোর্ড তাকে পুনরায় দ্য গ্রেপস্ অফ র্যাথ চলচ্চিত্রের জন্য নির্বাচন করেন। জন স্টেইনবেক রচিত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে তিনি টম জোড চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চরিত্রের জন্য তিনি প্রথমবারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
পুরস্কারের নাম | বছর | পুরস্কারের বিভাগ | মনোনীত চলচ্চিত্র | ফলাফল |
---|---|---|---|---|
একাডেমি পুরস্কার | ১৯৪০ | শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | দ্য গ্রেপস্ অফ র্যাথ | মনোনীত |
১৯৫৭ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | টুয়েলভ অ্যাংরি মেন | মনোনীত | |
১৯৮০ | সম্মাননা পুরস্কার | আজীবন সম্মাননা | বিজয়ী | |
১৯৮১ | শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | অন গোল্ডেন পন্ড | বিজয়ী | |
গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার | ১৯৫৭ | সেরা নাট্য চলচ্চিত্র অভিনেতা | টুয়েলভ অ্যাংরি মেন | মনোনীত |
১৯৮০ | সেসিল বি. ডেমিল পুরস্কার | আজীবন সম্মাননা | বিজয়ী | |
১৯৮১ | সেরা নাট্য চলচ্চিত্র অভিনেতা | অন গোল্ডেন পন্ড | বিজয়ী | |
বাফটা পুরস্কার | ১৯৫৭ | সেরা কেন্দ্রীয় চরিত্রে চলচ্চিত্র অভিনেতা (বিদেশী) | টুয়েলভ অ্যাংরি মেন | বিজয়ী |
১৯৮১ | সেরা কেন্দ্রীয় চরিত্রে চলচ্চিত্র অভিনেতা | অন গোল্ডেন পন্ড | মনোনীত |
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)