জ্যোতির্বিজ্ঞানী বা জ্যোতিঃবিজ্ঞানী হচ্ছেন একজন বিজ্ঞানী যিনি জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে মৌলিক গবেষণা পরিচালনা করেন এবং জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বা মহাজাগতিক বস্তুসমূহ যেমন গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করেন এবং এদের বৈশিষ্ট্য ও ধর্ম অধ্যয়ন করেন। প্রাচীনকালে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আকাশের মহাজাগতিক বিভিন্ন বস্তু ও ঘটনার শ্রেণিবিন্যাস ও বর্ণনায় নিয়োজিত থাকতেন, পক্ষান্তরে জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানীরা পদার্থবিজ্ঞানের তত্ত্ব ও সূত্র ব্যবহার করে এই সব ঘটনার ও বস্তুর আচরণের কার্যকারণ ব্যাখ্যা করতে সচেষ্ট থাকতেন। বর্তমানকালে জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানীদের গবেষণার ক্ষেত্র অনেকটা একই রকম হয়ে গেছে।
সাধারণত উচ্চ শিক্ষিত এবং পি এইচ ডি বা ডক্টরেট সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা পেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসেবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।[১] তারা তাদের বেশিরভাগ সময় গবেষণার কাজে ব্যবহার করলেও শিক্ষাদান, গবেষণার সহযোগী যন্ত্রপাতি তৈরী এবং মানমন্দিরের কার্যক্রম পরিচালনা ইত্যাদি কাজেও অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্বজুড়ে পেশাদার জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সংখ্যা কম হলেও শৌখিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান সমিতি (Astronomical Society of the Pacific) পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্যোতির্বিজ্ঞান সমিতি এবং পেশাদার ও শৌখিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী সহ বিশ্বের ৭০টি দেশে তাদের সদস্য রয়েছে।[২] আবার বাংলাদেশ জ্যোতির্বিজ্ঞান সমিতি (Bangladesh Astronomical Society) প্রকাশিত তথ্যমতে বাংলাদেশে অগণিত জ্যোতির্বিজ্ঞান-উৎসাহী রয়েছে, (১৯৯৯ সালের ২৪ অক্টোবর প্রায় ৩০,০০০ মানুষ পূর্ণ-গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে শের-ই-বাংলা নগরের একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ভিড় জমিয়েছিল[৩]
1
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |