ই-বাণিজ্য |
---|
অনলাইন পণ্য ও সেবা |
খুচরা সেবা |
মার্কেটপ্লেস |
মোবাইল কমার্স |
গ্রাহক সেবা |
ই-প্রকিউরমেন্ট |
ক্রয়-থেকে-প্রদান |
সুপার-অ্যাপ |
স্ট্রিমিং মিডিয়া হলো মাল্টিমিডিয়া যা সরবরাহকারীর মাধ্যমে ক্রমাগত গ্রহণ এবং শেষ ব্যবহারকারীর কাছে উপস্থাপিত হয়। স্ট্রিম ক্রিয়াটি এই পদ্ধতিতে মিডিয়া সরবরাহ বা প্রাপ্তির প্রক্রিয়াকে বোঝায়। স্ট্রিমিং মাধ্যমের নিজস্ব সরবরাহের পরিবর্তে মাধ্যমের বিতরণ পদ্ধতিকে বোঝায়। বিতরণ করা মিডিয়া থেকে বিতরণ করার পদ্ধতি বিশেষত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে প্রযোজ্য, কারণ বেশিরভাগ বিতরণ পদ্ধতি সহজাত স্ট্রিমিং হয় (যেমন রেডিও, টেলিভিশন, স্ট্রিমিং অ্যাপস) বা সহজাতভাবে স্ট্রিমিং নয় (যেমন বই, ভিডিও ক্যাসেটস, অডিও সিডি)। ইন্টারনেটে স্ট্রিমিং সামগ্রী নিয়ে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, যাদের ইন্টারনেট সংযোগে পর্যাপ্ত ব্যান্ডউইথ নেই তাদের বেলায় স্ট্রিমিং বন্ধ হয়ে যেতে পারে, ধীর গতির বা বাফারিং থেমে থেমে হতে পারে। আবার ব্যবহারকারীদের সামঞ্জস্যপূর্ণ হার্ডওয়্যার বা সফ্টওয়্যার সিস্টেমের অভাব থাকলে কিছু সামগ্রী স্ট্রিম করতে অক্ষম হতে পারে।
১৯২০ এর দশকের গোড়ার দিকে, জর্জ ও স্কুইয়ারকে বৈদ্যুতিক লাইনের মধ্যদিয়ে সংকেত সঞ্চালন ও বিতরণের জন্য একটি পদ্ধতির পেটেন্টস দেয়া হয়,[২] যা পরবর্তীকালে মুজাক হয়ে ওঠার প্রযুক্তিগত ভিত্তি ছিল, এই প্রযুক্তি রেডিও ব্যবহার না করে বাণিজ্যিক গ্রাহকদের কাছে স্ট্রিমিং সঙ্গীত সরবরাহ করেছিল। এরপর বেশ কয়েক দশক সামান্য অগ্রগতি হয়েছিল, মূলত কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের উচ্চ মূল্য এবং সীমিত সামর্থ্যের কারণে। ১৯৮০-এর দশকের শেষভাগ থেকে ১৯৯০-এর দশকে ব্যক্তিগত কম্পিউটারগুলি বিভিন্ন মিডিয়া প্রদর্শনের জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠে। স্ট্রিমিং সম্পর্কিত প্রাথমিক প্রযুক্তিগত সমস্যাগুলির কাটিয়ে কম্পিউটারগুলি স্ট্রিমিং সক্ষম হয়। তবে, ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক গুলি সীমাবদ্ধ ছিল এবং অডিও ও ভিডিও মিডিয়াগুলি সাধারণত স্ট্রিমিং নয় এমন চ্যানেলগুলিতে বিতরণ করা হত, যেমন রিমোট সার্ভার থেকে একটি ডিজিটাল ফাইল ডাউনলোড করে শেষ ব্যবহারকারীর লোকাল ড্রাইভে ডিজিটাল ফাইল হিসাবে সংরক্ষণ করা হত এবং এটি পরে সিডি-রোম থেকে চালানো হতো।
১৯৯০ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে নেটওয়ার্কিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি কল্পনা কর্তৃক ইথারনেট স্যুইচ চালু করা হয়েছিল, যা আরও শক্তিশালী কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং করতে সক্ষম হয়েছিল, যা স্কুল এবং কর্পোরেশন দ্বারা ব্যবহৃত প্রথম স্ট্রিমিং ভিডিও সমাধান নিয়ে আসে। ১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
"স্ট্রিমিং ওয়ার্স" শব্দটি নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও, হুলু, এইচবিও ম্যাক্স এবং অ্যাপল টিভি+ এর মতো ভিডিও স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতার নতুন যুগের সূচনা করেছিল। [৩]
লাইভ স্ট্রিমিংযুক্ত মিডিয়াটি ভিএলসি প্লেয়ারের মতো নির্দিষ্ট মিডিয়া প্লেয়ারগুলির মাধ্যমে বা স্ক্রিন রেকর্ডার ব্যবহারের মাধ্যমে রেকর্ড করা যায়। টুইচের মত লাইভ-স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ভিডিও অন ডিমান্ড সিস্টেমে সম্প্রচারিত ভিডিও স্বয়ংক্রিয় রেকর্ডিংয়ের অনুমতি দেয়, যেগুলো পরে দেখা যায়। [৪] জনপ্রিয় সাইট, ইউটিউবের প্রচারিত টেলিভিশন শো সহ সরাসরি সম্প্রচারের স্ট্রিমিং ভিডিও রেকর্ডিং করা যায়। আইনসম্মত বা অন্য কোনভাবে এই স্ট্রিমগুলিতে প্রবেশাধিকার রয়েছে এমন যে কেউ রেকর্ডিং করতে পারে। [৫]