জেফ্রি সি হল | |
---|---|
জন্ম | ৩ মে, ১৯৪৫ (৭২ বছর) নিউ ইয়র্ক সিটি |
জাতীয়তা | আমেরিকান |
মাতৃশিক্ষায়তন | এমহার্স্ট কলেজ, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | পিরিয়ড জিন ক্লোনিং |
জেফ্রি সি হল (জন্মঃ ৩ মে ১৯৪৫) হলেন একজন আমেরিকান জেনেটিসিস্ট ও ক্রোনোবায়োলজিস্ট। তিনি ২০১৭ সালে মনোবিজ্ঞান বা চিকিৎসায় অবদান রাখার জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[১] তিনি ব্র্যানডেইস বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর এমিরিটাস। [২] তিনি বর্তমানে মেইনে তে বসবাস করছেন। তিনি ফ্লাই কার্টশিপের নিউরলজিক্যাল গঠন পরীক্ষা ও আচরণগত রিদম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। নিউরোলজি ও ড্রসোফিলা মেলানোগাস্টার এর আচরণের ওপর গবেষণা করেছেন। জেফ্রি সি হল বায়োলজিক্যাল ক্লক ও স্নায়ুতন্ত্রে যৌন পার্থক্যকারী গঠনের কার্যকরণ
আবিষ্কার করেন। ক্রোনোবায়োলজিতে তার বিপ্লবী অবদানের জন্য তাকে জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির জন্য নির্বাচিত করা হয়। [৩] ২০১৭ সালে মাইকেল ডাব্লিউ ইয়ং ও মাইকেল রসব্যাশ এর সাথে তাকে চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। [৪][৫]
জেফ্রি সি হল ব্রুকলাইন, নিউ ইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন এবং ওয়াশিংটন ডিসির শহরতলীতে বড় হয়ে উঠেন। তার বাবা এসোসিয়েটেড প্রেস এর প্রতিবেদক ছিলেন। তার বাবা, জোসেফ ডাব্লিউ হল,[৬] তাকে অনেক প্রভাবিত করেন, বিশেষত দৈনিক পত্রিকার সর্বশেষ সংবাদ্গুলোর ব্যাপারে। উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সময় জেফ্রি সি হল মেডিসিন বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেন এবং উক্ত বিষয়কে জীবিকা হিসেবে নির্বাচিত করেন। এমহার্স্ট কলেজ থেকে ১৯৬৩ সালে ব্যাচেলর ডিগ্রী লাভ করেন। স্নাতকপূর্ব সময়ে তিনি জীববিজ্ঞানে তার আগ্রহ আবিষ্কার করেন। তিনি ফিলিপ আইভস এর সাথে কাজ শুরু করেন, যেন তিনি গবেষণা বিষয়ক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। তিনি ফিলিপকে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেন।[৭] ফিলিপের গবেষণাগারে কাজ করার সময় তিনি ড্রসোফিলার ব্যাপারে সম্যক জ্ঞান লাভ করেন। তিনি ড্রসোফিলাতে রিকম্বিনেশন ও ট্রান্সলোকেশন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। গবেষক হিসেবে তার সফলতায় তিনি ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে জীববিজ্ঞান বিভাগে যোগদান করেন ও জিনতত্ত্ব নিয়ে নিরলস কাজ করা শুরু করেন।